এক মাসে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩৪ কোটি ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৯ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
পাকিস্তানের একটি বন্দর/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৩.৩৪ বিলিয়ন বা ৩৩৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। সরকারি তথ্য বলছে, এ সময়ে আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে রপ্তানি কমেছে, ফলে দেশটির নাজুক বৈদেশিক খাত ও রুপির স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (পিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২.২৯ বিলিয়ন ডলার। এ বছর সেপ্টেম্বরে আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮৫ বিলিয়ন বা ৫৮৫ কোটি ডলারে (১৪ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং রপ্তানি কমে হয়েছে ২.৫ বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ডলার (১১.৭ শতাংশ হ্রাস)।

ত্রৈমাসিক হিসেবে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩৭ বিলিয়ন বা ৯৩৭ কোটি ডলারে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৯ শতাংশ বেশি। এই সময়ে আমদানি বেড়েছে ১৩.৫ শতাংশ হয়ে ১৬.৯৭ বিলিয়ন বা ১৬৯৭ কোটি ডলারে এবং রপ্তানি কমেছে ৩.৮ শতাংশ হয়ে ৭.৬ বিলিয়ন বা ৭৬০ কোটি ডলারে।

অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এ পরিস্থিতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করবে, রুপির অস্থিরতা বাড়াবে এবং ঋণ পরিশোধকে জটিল করে তুলবে।

স্বাধীন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাকিস্তানের রপ্তানি কাঠামো অত্যন্ত সীমিত, যা মূলত কৃষি ও টেক্সটাইল খাতের ওপর নির্ভরশীল। বছরে ৩০-৩১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মধ্যে এ দুটি খাতই প্রধান অংশীদার।

সাবেক অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. খাকান নাজীববলেছেন, এই সংকীর্ণ রপ্তানি কাঠামো পাকিস্তানকে বৈশ্বিক বাজারের ওঠানামার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। প্রতিযোগিতা বাড়ানো, উচ্চমূল্যের নতুন রপ্তানি খাত তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানো এখন জরুরি।

সূত্র: জিও নিউজ

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।