প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় হাজারও ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সোমবার (১৩ অক্টোবর) অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ ও বেইতুনিয়ার মধ্যে অবস্থিত ওফার সামরিক কারাগারে পাহারা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী/ ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া স্বজনদের জন্য রামাল্লায় অপেক্ষায় করছেন হাজারও ফিলিস্তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদক টম বেনেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওফার কারাগার থেকে বেশ কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের এসব বাসে বহন করা হচ্ছে।

আমরো আবদুল্লাহ নামে এক যুবক বলেন, তিনি তার নিকটাত্মীয় (কাজিন) রশিদ ওমরের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাকে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে আটক করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলো ইসরায়েল।

‘সে এখন মুক্তি আস্বাদনের জন্য প্রস্তুত’ আমরো একটি কনফারেন্স হলে বলছিলেন যেখানে আরও অনেক পরিবার অপেক্ষা করছে। অনেকে প্রিয়জনকে ফেরত পাবেন বলে আনন্দিত বলে জানিয়েছেন।

বিবিসির সংবাদদাতা টম বেনেট জানিয়েছেন, ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি এবং গাজা থেকে আটক ১ হাজার ৭০০ জনকে মুক্তি দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ২২টি শিশুও আছে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দখলিকৃত পশ্চিম তীরে ওফার কারাগার থেকে এসব বন্দিরা মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এসব বন্দিদের নামের তালিকা প্রকাশ করে ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয়।

যারা মুক্তি পাবেন তাদের জন্য সকাল থেকেই কারাগারের বাইরে তাদের স্বজনরা অপেক্ষা করছেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পশ্চিম তীরে একশ বন্দি মুক্তি পাবেন। তাদের গাজা বা মিশরে পাঠানো হবে। আর একটি ছোট অংশ মুক্তি পাবে পূর্ব জেরুজালেমে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে দ্বিতীয় দফায় জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দিয়ে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ দফায় তের জনকে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

এর মাধ্যমে জীবিত সব জিম্মিকেই হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। তারা জানিয়েছে নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ পরে হস্তান্তর করা হবে।

মুক্তিপ্রাপ্তদের এখন আইডিএফ ও গাজায় থাকা ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থার কাছে নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।