যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থা অবসানে সিনেটে সমঝোতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন/ছবি: এএফপি

দীর্ঘদিন ধরে চলা শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আবার চালু করতে সিনেটে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের সদস্যরা। ফলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রেকর্ড ৪০ দিন ধরে চলা শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে। 

রোববার মধ্যপন্থি ডেমোক্র্যাটদের একটি দল সরকার পুনরায় চালু করার জন্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার পর এই অগ্রগতি এসেছে।

আলোচনার নেতৃত্বদানকারী সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং সাংবাদিকদের বলেন, আইনটির সমর্থক ডেমোক্র্যাটরা মনে করেন যে শাটডাউন দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে।

বিলটি পাসের জন্য পর্যাপ্ত ভোট পাওয়ার ব্যাপারে তিনি কি আত্মবিশ্বাসী এমনটা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই এমনই দেখাচ্ছে।

সংশোধিত প্যাকেজটি এখন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

এই সাফল্যের খবর প্রকাশের পর হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, মনে হচ্ছে আমরা শাটডাউন শেষ হওয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।

কানেকটিকাটের ডেমোক্র্যাট সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তহবিল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন তবে এটি পাস করার জন্য পর্যাপ্ত ডেমোক্র্যাটিক সমর্থন থাকতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি কোনো অনির্দিষ্ট সময়ে, স্বাস্থ্যসেবা কর ক্রেডিট বাড়ানোর জন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যবস্থায় ভোটের অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মেনে নিতে রাজি নই।

প্রায় ৪০ দিন ধরে চলা এই শাটডাউনের ফলে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ফেডারেল কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং লাখ লাখ আমেরিকান নাগরিকের খাদ্য সহায়তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের তথ্য অনুসারে, বিমান পরিবহন কর্মীর ঘাটতির কারণে রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২ হাজার ৩০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ৮ হাজার ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।