বিহারের নির্বাচনে আরজেডির শোচনীয় অবস্থা

পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজনীতি ছাড়লেন লালু প্রসাদের মেয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বাবা লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে রোহিনী আচার্য/ এক্স থেকে সংগৃহীত ছবি

ভারতের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির ভরাডুবির পরদিনই পরিবার ত্যাগ ও রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন দলীয় প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্য। শনিবার (১৫ নভেম্বর) এক রহস্যময় পোস্টে এই ‘বিস্ফোরক’ সিদ্ধান্তের কথা জানান রোহিনি।

এক্সে (সাবেক টুইটার) রোহিনী লেখেন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার (যাদব) পরিবারকেও ত্যাগ করছি। সঞ্জয় যাদব ও রামিজ আমাকে এটাই করতে বলেছিলেন। সব দায় আমি মাথা পেতে নিচ্ছি।

রোহিনীর পোস্ট বিহারের রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেয়। আর পরিবার ও রাজনীতি থেকে দূরে যাওয়ার নেপথ্যে সঞ্জয় যাদব ও রামিজ নুমান খান নামে দুই ব্যক্তির কথা জানান রোহিনী। জানা গেছে, সঞ্জয় ও রামিজ দুজনেই লালু প্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, রোহিনীর এমন সিদ্ধান্তের পেছনে তেজস্বী জড়িত।

শনিবার রাতে পাটনা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সরাসরি তেজস্বীর নাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোহিনী। তার স্পষ্ট জবাব, আমার কোনো পরিবার নেই। আপনাদের তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় যাদব ও রামিজকে জিজ্ঞেস করা উচিত। তারাই আমাকে পরিবার থেকে তাড়িয়েছেন।

রোহিনীর ভাষ্য, ওরা কোনো দায়িত্ব নিতে চান না। সবাই জিজ্ঞেস করছে, আরজেডি কেন এভাবে ধরাশায়ী হলো? অথচ সঞ্জয় বা রামিজকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি, অপমান করা হয় ও জুতা দিয়ে মারাও হয়।

এদিকে, রোহিনীর এই পোস্টের কারণে পরিবারে ও দলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এর আগে, লালুর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি নিজেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ নামে একটি দল গঠন করেন, যারা একাই নির্বাচন করে ও রাঘোপুরে তেজস্বীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। তবে দলটি একটি আসনও জিততে পারেনি, এমনকি তেজ প্রতাপও মাহুয়া থেকে হেরে যান।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় মাত্র ২৫টি আসন পায়। মহাগঠবন্ধন জোট মিলে পায় মাত্র ৩৫ আসন। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট জিতে নেয় ২০২টি আসন।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।