এবার দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী বোমা হামলা’ বললো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে/ ফাইল ছবি: এএফপি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত ১০ নভেম্বর ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণকে এবার ‘আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। এর আগে বুধবার (১২ নভেম্বর) ভারতের মন্ত্রিসভা এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে তকমা দিয়েছিল।

এদিকে, হামলার জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার (১৬ নভেম্বর) দিল্লি থেকে আমির রাশিদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা’ হিসেবে ঘোষণা দেয় এনআইএ।

গত ১০ নভেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে নয়াদিল্লির পর্যটন এলাকা লাল কেল্লার একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই গাড়ির চালক উমর উন-নবিসহ ১৩ জন ও আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।

প্রাথমিক তদন্ত ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইডি বোমা এবং এটি ফিট করা হয়েছিল হুন্দাই আই২০ সিরিজের গাড়িতে।

ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা উমর নবি হরিয়ানার ফরিদাবাদ শহরের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পুলওয়ামায় তার বসতবাড়িটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মির পুলিশ, সেই সঙ্গে তার দুই ভাই ও মাকেও আটক করা হয়েছে।

এনআইএ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতার আমির রাশিদ আলীর বাড়ি পুলওয়ামা জেলার সামবুরা জেলায়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, গত ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণ ছিল একটি পরিকল্পিত আত্মঘাতী হামলা। বিস্ফোরণে যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটির মালিক ছিলেন আমির রাশিদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমিরের দায়িত্ব ছিল হামলার আগ পর্যন্ত উমরের সঙ্গে থাকা ও তাকে সহযোগিতা করা। গাড়িটি কেনা থেকে শুরু করে সেটিতে বোমা ফিট করা পর্যন্ত প্রতিটি কাজে অংশ নেন আমির। এমনকি, যে সন্ধ্যায় হামলা ঘটে, সেই সন্ধ্যায়ও উমরের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তিনি। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে গাড়ি থেকে নেমে যান রাশিদ।

এ ঘটনায় আরও অভিযুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে এনআইএ। বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নেটওয়ার্ক অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাছাড়া হামলাকারীরা কোথা থেকে অর্থ পেলো ও বিদেশের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এসএমডব্লিউ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।