ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা ইউক্রেনের জন্য ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে মিত্রদেশগুলোর উদ্বেগ প্রকাশের পর তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের নেতারা যৌথ বিবৃতিতে জানান, মার্কিন প্রস্তাবে টেকসই শান্তির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, তবে সীমান্ত পরিবর্তন ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা কমানোর বিষয়গুলো নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনা প্রয়োজন।

রোববার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসবেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে ইউক্রেন ইতিহাসের অন্যতম কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, প্রস্তাবটি মস্কোর পক্ষে ঝুঁকে আছে।

ট্রাম্প ইউক্রেনকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন প্রস্তাবিত ২৮ দফা পরিকল্পনায় সাড়া দিতে। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এটি সমঝোতার ভিত্তি হতে পারে।

শনিবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, না, এটি আমার চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়। তিনি বলেন, যুদ্ধ যেভাবেই হোক শেষ করতে হবে, আমরা সে দিকেই কাজ করছি।

জেনেভার বৈঠকে অংশ নেবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েল।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি–২০ সম্মেলনে শনিবার যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়, তাতে সই করেন কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও নরওয়ের নেতারা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও নাটো–এর দু’জন ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিও এতে ছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়—খসড়া পরিকল্পনাটি আলোচনা এগোনোর ভিত্তি হতে পারে, তবে আরও কাজ প্রয়োজন। আমরা স্পষ্ট যে সীমান্ত বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর প্রস্তাবিত সীমাবদ্ধতা ভবিষ্যতে দেশটিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

জি–২০–তে থাকা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শনিবার জেলেনস্কি ও পরে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি দুই নেতাকে জানান, ইউক্রেনের মিত্রদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে।

স্টারমার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতায় সীমা আরোপের বিষয়টি উদ্বেগজনক— সিজফায়ারের সময়ও ইউক্রেনের আত্মরক্ষার ক্ষমতা থাকতে হবে।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।