আধুনিক খামার গঠনে গুরুত্ব দিচ্ছে চীন


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চলতি বছর চীন গ্রামীণ নীতিমালায় যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, খাদ্যনিরাপত্তা ও খামারগুলোর আধুনিকায়ন এর অন্যতম। দেশটির কৃষি খাতে উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস নিয়ন্ত্রণ করে ভবিষ্যৎ খাদ্য সরবরাহ ঝুঁকি প্রশমনে এ উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্স।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ায় প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের মধ্যে সম্পদবৈষম্য কমাতে কৃষিজমি রক্ষার পাশাপাশি কৃষককে আরো বেশি ঋণ দেবে চীন সরকার। খনিজ উত্তোলন ও অন্যান্য কাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলো পরিষ্কারের কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে। শিল্প ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে ‘স্থায়ী কৃষিজমি’ তৈরি করা হবে।

আরো বলা হয়, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে আধুনিক কৃষি খামার গঠনের পাশাপাশি খাদ্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতে নীতিমালা জোরদার করা হবে। এছাড়া ভূমি সংস্কারের মাধ্যমে কৃষকদের ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হবে। দরিদ্রতা থেকে বের হওয়া ছাড়াও কৃষকদের আরো বড় ও উন্নত খামার গঠনে সহায়তা করতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সাধারণত কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের দীর্ঘ সময়ের জন্য জমি বরাদ্দ দেয় দেশটির সরকার। তবে এ জমি বিক্রয়ের কোনো অধিকার থাকে না তাদের।

রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, চীনের মোট জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশই গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। এর মধ্যে অনেক তরুণ শহরে চলে গেছে জীবিকার উদ্দেশ্যে। ফলে বিভিন্ন কৃষি খামারে উত্পাদনশীলতা কমে গেছে। এ অবস্থায় সরকার কৃষি উত্পাদন বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহী করা ও কৃষকদের সহজ ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। এর মধ্যে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রামীণ অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নে মধ্য ও স্বল্প মেয়াদে ঋণ কার্যক্রম বাড়াবে। গ্রামে কার্যক্রম প্রসারে উৎসাহী করা হবে নিম্ন আয়ের উদ্যোক্তাদের সহায়ক প্রতিষ্ঠান পোস্টাল সেভিংস ব্যাংক অব চায়নাকে।

এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।