কলম্বিয়ায় গণভোটে শান্তিচুক্তি প্রত্যাখ্যান


প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৬

ফার্ক শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে কলম্বিয়ার ভোটাররা। ফলে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। কলম্বিয়ায় কম্যুনিস্ট বিদ্রোহ শুরু হয়েছিলো ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে। দীর্ঘ পাঁচ দশকের গৃহযুদ্ধে দেশটিতে ২ লাখ ৬০০০০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। খবর বিবিসির।

যুদ্ধ বন্ধে গত চার বছর ধরে কলম্বিয়ার সরকার এবং কম্যুনিস্ট গেরিলা গোষ্ঠী ফার্কের মধ্যে মীমাংসা আলোচনা চলেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্বের নানা দেশ থেকে অতিথিদের সামনে প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস এবং বিদ্রোহী নেতা তিমোলিনো হিমনেজেস শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে শর্ত ছিলো এই চুক্তি গণভোটে পাশ হতে হবে।

বিভিন্ন জনমত জরীপে বলা হয়েছিল, ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ শান্তি চুক্তি সমর্থন করছে। দেশের মূলধারার সব রাজনৈতিক দলই চুক্তির পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে।

কিন্তু বিস্ময়কর-ভাবে সিংহভাগ ভোটার শান্তিচুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে পড়েছে ৫০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট এবং এর পক্ষে  পড়েছে ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

শান্তি চুক্তির বিপক্ষে যারা ভোট দিয়েছেন, তারা বলছে, এই চুক্তির ফলে এত দিন ধরে হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে বিদ্রোহীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দু’পক্ষেরই যারা অপরাধে লিপ্ত ছিলো বিশেষ আদালতে তাদের বিচারের কথা চুক্তিতে রয়েছে।

colombia

তবে, যারা অপরাধ স্বীকার করবে তাদের শাস্তি কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এমনকী তাদের কারাভোগ না করার সুযোগও চুক্তিতে রাখা হয়েছে। তবে এসব শর্ত কলম্বিয়ার বহু মানুষ মেনে নিতে পারেনি।

এছাড়া, ফার্ক গেরিলাদের মাসে মাসে ভাতা দেওয়া, এমনকী ব্যবসা করতে চাইলে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিধানেও বহু মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছে।

গণভোটের ফলাফলে ধাক্কা খেয়েছেন প্রেসিডেন্টে সান্তোস। তিনি বলেছেন, সরকার বাহিনী এবং ফার্ক গেরিলাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বলবত থাকবে। সোমবার তিনি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

এদিকে, বিদ্রোহী নেতা তিমোলিনো হেমেনেজেস বলেছেন, শান্তির ব্যাপারে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাদের ওপর ভরসা রাখলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।