ওবামাকেয়ার বাতিলের নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্যনীতি বাতিলে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম পদক্ষেপ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আইন বাতিলের ফলে প্রায় দুই কোটি মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্যবীমা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বিবিসির।
ট্রাম্পের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী, ওবামাকেয়ার নামে পরিচিত এই আইন বাতিলের মধ্য দিয়ে খরচের বোঝা নামবে।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর দেয়া ভাষণে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন তার কাছে যুক্তরাষ্ট্রই সবার আগে। এছাড়া তার দেশে নিয়মিত যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় সেসব বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাম্প তার মন্ত্রিপরিষদের জন্য মনোনীত সদস্যের নাম সিনেটে পাঠিয়ে দেন।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের বিরোধীতা করে ওয়াশিংটনে নারীরা একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তারা বর্ণবাদী এবং লিঙ্গ সমতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন যে হুমকি হতে পারে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই তারা এ ধরনের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডেও ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প শপথ নেয়ার পরপরই হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সব তথ্য মুছে ফেলা হয়। এছাড়াও আমেরিকাজুড়েই বেশ কিছু তাৎক্ষণিক পরিবর্তন ঘটেছে।
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জেমস মেটিসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম সেনাবাহিনীর কাউকে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হলো। এ নিয়েও বেশ বিতর্ক হয়েছে। মেটিসের নিয়োগের বিষয়টি সিনেট থেকে অনুমোদিত হয়েছে। মেটিসকে শপথ গ্রহণ করান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
শক্তি, পররাষ্ট্র নীতি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সামরিক, আইন প্রয়োগকারী এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়সহ মাত্র ছয়টি ইস্যু শোভা পাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের ওয়েবসাইটে।
এই ওয়েবসাইটে নাগরিক অধিকার, এলজিবিটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয় কোনো তথ্য নেই। এসব বিষয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।
এনএফ/ টিটিএন/জেআইএম