ক্যামেরাকে বন্দুক ভেবে আতঙ্কিত শিশু!


প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৫

দুটোই যন্ত্র, একটা মারনাস্ত্র আর আরেকটা শিল্প চর্চায় ব্যাবহৃত হয়। কিন্তু কথায় আছে ‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। তেমনটি ঘটেছে সিরিয়ার যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি গ্রামের তিন চার বছরের ফুটফুটে এই শিশুটির বেলায়।

সিরিয়ার একটি পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক নাদিয়া আবু শাবানের তোলা ছবিটির পেছনের কাহিনী থেকে জানা যায়, যখন ক্যামেরাম্যান ব্যাগ থেকে তার ক্যামেরা বের করতে যাচ্ছেন তখন একটি শিশু সেটিকে বন্ধুক ভেবে আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে দুই হাত উপরে তুলে দাঁড়ালো।

ছবিটা সিরিয়ার কোন এক বিদ্ধস্ত গ্রাম থেকে তোলা। ছবিটি এ পর্যন্ত দেড় হাজার বার রিটুইট করা হয়েছে।

জন্মের পর থেকেই যুদ্ধের দামামা শুনে বেড়ে ওঠা শিশুটি ক্যামেরাকেই অস্ত্র ভেবে ভুল করে বসে। শিশুটির এই আতঙ্কিত আচরণ থেকেই বোঝা যায় যে সিরিয়ার মানবিক সংকট কতটা করুণ রূপ ধারণ করেছে। হিংসা হানাহানি এই কোমলমতি শিশুদের মনে দাগ কেটে গিয়েছে তাও স্পষ্ট।

যার এখন খেলনা বা পুতুল খেলার বয়স ধর্মীয় এবং জাতিগত সংঘর্ষ সব কিছুই কেড়ে নিয়ছে তার।

রাআহা/এলএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।