সাবধান! পর্ণ সাইট মালিকের ১৮ বছরের কারাদণ্ড (ভিডিও)


প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৫

খোলামেলা বা নগ্নতার ছড়াছড়ি পশ্চিমা বিশ্বে। তার উপর সেটা যদি হয় খোদ আমেরিকা, তাহলেতো কথাই নেই। আবার সেই আমেরিকাতেই যদি নগ্নতার বাড়াবাড়ির জন্য জেল-জরিমানা করা হয় তাতে কি অবাক না হয়ে পারা যায়! এই ঘটনা আমেরিকায় প্রথমবারের মতো। যা একটি দৃষ্টান্ত। খবর মেইল অনলাইন।

`রিভেঞ্জ পর্ন’ নামের একটি ওয়েবসাইটে দশ হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষের খোলামেলা ছবি পোস্ট করার অপরাধে এক যুবককে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কেভিন বোলায়ের্ট নামের এই৫ যুবককে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দিল মার্কিন আদালত। আমেরিকার অপরাধের ইতিহাসে এ ধরণের সাজা এই প্রথম। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।

গত ফেব্রুয়ারিতে কেভিন বোলায়ের্ট নামে সান দিয়েগোর বাসিন্দা ২৮ বছরের ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘ugotposted.com’-এই নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সে। সেখানে অনুমতি না নিয়ে নারী ও পুরুষের খোলামেলা ছবি পোস্ট করতে থাকে কেভিন। এর পাশাপাশি আরও একটি ওয়েবসাইটও চালু করে সে। সেটির নাম ‘changemyreputation.com’। সেখানে আগের ওয়েবসাইটে যাঁদের ছবি পোস্ট করা হয়েছে, তাঁদের ছবি সরিয়ে দেওয়ার কাজ করা হত। এই কাজে প্রত্যেক ছবি প্রতি কেভিন ৩৫০ মার্কিন ডলার নিত। যাঁদের ছবি ওই রিভেঞ্জ পর্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়ে গেছে তাঁরাও লজ্জার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দিয়ে দিতেন ওই টাকা। এভাবে ভালোই ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল বছর আঠাশের ওই যুবক।

এরপরই এই ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা আদালতে ফৌজদারী মামলা করেন।

আদালতে এই ঘটনার শিকার এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সমাজে তাঁর মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। অন্য একজন বিচারকের কাছে বলেছেন, এই ঘটনায় তাঁর জীবনটাই শেষ হতে বসেছে। তাঁর মাও তাঁকে একঘরে করেছে।

এই ঘটনায় স্বভাবতই দুঃখিত কেভিনের মা-বাবা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তান এই ঘটনা ঘটালেও এখন সে অনুতপ্ত। যদিও বিচারপতি গিল কেভিনের এই অপরাধকে মারাত্মক বলেই আখ্যা দিয়েছেন।  ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে এই ধরণের ফৌজদারী মামলার নজির এই প্রথম।



এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।