আসামকে ছাড়াই সীমান্ত চুক্তিতে বিক্ষোভ
প্রতিবেশি দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের স্থল সীমান্ত চুক্তি হতে যাচ্ছে আসামকে ছাড়াই। ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ফলশ্রুতিতেই হতে যাচ্ছে এ সীমান্ত চুক্তিটি।
এ চুক্তির ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও মেঘালয় সীমান্তের পরিবর্তন ঘটলেও কোনো পরিবর্তন ঘটছে না আসামে। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়নে ২০১১ সালের হাসিনা-মনমোহনের মাঝে একটি প্রটোকল চুক্তি সই হয়। সেখানে আসাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো। কিন্তু বিজেপি সরকার আসামকে ছাড়াই রাজ্য সভায় সীমান্ত চুক্তির বিল পাশ করাতে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী বছর আসাম বিধানসভা নির্বাচন থাকায় ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। সীমান্ত বিল পাস হলে আসামের ২৬০ একরেরও বেশি ভূমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এ মুহূর্তে জনমত পক্ষে রাখতে চায় মোদি সরকার।
এদিকে মোদি সরকারের এমন দ্বিমূখী আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছে আসামের জনগণ। প্রদেশটির ছাত্র ইউনিয়ন পরিষদ চুক্তির কপি পুড়িয়ে প্রতিটি জেলা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
এদিকে গত রোববার গুয়াহাটিতে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে আসামের মূখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দ্বিমুখী আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছর প্রধানমন্ত্রী চুক্তিটি আসামের জন্য ভালো হবে বলেছিলেন। তবে এখন কেন তিনি চুক্তি থেকে আসামকে বাদ দিতে চাইছেন?
এ ব্যাপারে বিরোধী দল কংগ্রেস জানায়, রাজ্যসভায় পেশ করা মূল বিলে আসামকে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। এখন আসামকে বাদ দেওয়া দলটি মেনে নেবে না। আর এই সিদ্ধান্ত সীমান্ত চুক্তি নিয়ে জটিলতা কমবে না বরং আরো বাড়বে বলে দলটির মত।
আরএএইচ/এলএ/আরআই