পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা সংকট : আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসছেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ১৭ জুন ২০১৯

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। তবে তারা শর্ত দিয়েছেন, মিডিয়ার সামনে বৈঠক করার।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সূত্র বলছে, মিডিয়ার সামনে বৈঠক হবে না। এ বিষয়ে জটিলতা না বাড়লে আজ (সোমবার) বিকেল ৩টায় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে বৈঠক হতে পারে। কিন্তু মিডিয়ার উপস্থিতি মানা না হলে বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা চলে চিকিৎসকদের।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টা থেকে প্রথমে নীলরতন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক সভাগৃহে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বৈঠক হোক সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে। বৈঠকের স্থান নির্বাচনের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই ছেড়ে দেন তারা। তবে রাজ্যের ১৪টি মেডিকেল কলেজ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রতিনিধি এবং মিডিয়ার উপস্থিতির দাবি জানানো হয়।

mamata-2

রাতের দিকে নবান্ন সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের সব ‘শর্ত’ মানতে রাজি নয় সরকার। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, প্রতিনিধিদলে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ থেকে ২-৫ জন থাকবেন। তবে এত জনের সঙ্গে বৈঠকে প্রাথমিকভাবে সায় নেই স্বাস্থ্যভবনের কর্মকর্তাদের। তাদের বক্তব্য, প্রতিটি কলেজ থেকে দু’জন করে প্রতিনিধির উপস্থিতিই যথেষ্ট।

তবে প্রতিনিধির সংখ্যা নয়। প্রশাসনের প্রধান আপত্তি মিডিয়ার উপস্থিতির দাবি নিয়ে। চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক যদি ‘লাইভ’ হতে পারে তা হলে এ ক্ষেত্রে আপত্তি কোথায়! প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাতে রাজি নন। তাদের বক্তব্য, তেমন হলে বৈঠকে কী হলো যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেয়া হবে।

এনআরএস হাসপাতাল সূত্রের খবর, ‘লাইভ’ বৈঠকের দাবি গ্রহণ করা না হলে বিকল্প দাবিও ভেবে রাখা হয়েছে। তৃতীয় কোনও পক্ষকে দিয়ে ভিডিয়োগ্রাফির কথা বলা হতে পারে। তা-ও মানা না হলে? রাত পর্যন্ত তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অচলাবস্থা কাটানো যে জরুরি তা দু’পক্ষই উপলব্ধি করছেন।

এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের পেছনে শুরু থেকেই পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। গত ১৪ জুন এই পুলিশি ব্যর্থতার ‘দায়’ কার্যত কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের উপর চাপিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্র : আনন্দবাজার

জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।