মিসরের পর তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আনছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এমআইএমটিসি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তুরস্ক থেকে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ফরমায়েশ পাঠিয়েছে। দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় এই ভোগ্যপণ্যটির দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি ছাড়াও মজুদে ঘাটতি দেখা দেয়ায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক অনলাইন প্রতিবেদনে রোববার এ খবর জানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেঁয়াজ আমদানির ফরমায়েশ পাঠালো এমআইএমটিসি। এর আগে মিসর থেকে ৬ হাজার ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।

দেশের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি পূরণে গত মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১ লাখ ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়। দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে এখন ৭৫ থেকে ১২০ রুপি কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ওই সংস্থাটি তুরস্ক থেকে যে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ফরমায়েশ পাঠিয়েছে তা আগামী বছরের শুরুতেই হাতে পাবে বলে জানা গেছে। আর মিসর থেকে যে ৬ হাজার ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে তা চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে পৌঁছাবে। সেগুলো বিক্রি করা হবে ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নজরদারি করতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী, ভোগ্যপণ্য বিষয়ক মন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী রয়েছেন। এছাড়া ভোগাপণ্য বিষয়ক সচিবও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।

ভারতের বেশিরভাগ শহরের বাজারে গতকাল শনিবারও ৭৫ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এছাড়া এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে ১২০ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশটির ভোগ্যপণ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ই এই হিসাব দিয়েছে। গতদিন মন্ত্রণালয়টির মন্ত্রী রাম বিলাস জানান গত দুই মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদন ২৬ শতাংশ কমেছে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।