আমার ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২০

অডিও শুনুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার দেহে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেছেন যে, তার দেহে আর কোভিড-১৯ সংক্রমণ নেই। খবর আল জাজিরার।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু সবকিছু থেকে দূরে থাকা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না তার। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনী প্রচারণায় ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন তিনি।

সম্প্রতি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আর কোনো ঝুঁকি নেই। এমন খবর সামনে আসার পর থেকেই যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন পার না হতেই এর মধ্যেই গত শনিবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের বারান্দা থেকে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার এমন কাজের সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, স্থানীয় সময় রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, তার দেহে করোনা আর নেই এবং তার ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। করোনা থেকে তিনি পুরোপুরি সুস্থ কীনা সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না হতেই এমন দাবি করলেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তার দেহে করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে কীনা সেটাও পরিষ্কার করেননি ট্রাম্প। তবে তিনি বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি খুব ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

গত শনিবার ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক শন কনলি জানিয়েছেন, তার কাছ থেকে অন্যদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আর নেই। শনিবার প্রেসিডেন্টের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে শন কনলি বলেন, ট্রাম্পের করোনা টেস্টে দেখা গেছে, তিনি এখন আর অন্যদের জন্য ঝুঁকির কারণ নন। পরীক্ষার ফলাফল বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শরীরে সক্রিয়ভাবে ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কনলির এই বিবৃতিতে ট্রাম্পের করোনা নেগেটিভ কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করেনি হোয়াইট হাউস। এছাড়া করোনা পজিটিভ আসার কতদিন আগে শেষবারের মতো ট্রাম্পের করোনা নেগেটিভ এসেছিল সে বিষয়টিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে তার করোনা সংক্রমণের সময়কাল নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েই যাচ্ছে।

গত ২ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা সংক্রমণের খবর সামনে আসে। এরপর তিনদিন ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা শেষে হোয়াইট হাউসে ফেরেন ট্রাম্প।

হাসপাতাল ছাড়ার পর শনিবার বিকেলে প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউস থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প। আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার প্রতি সমর্থন জানাতে হাজার হাজার কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এদিকে, সোমবার ফ্লোরিডায় যাবেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া মঙ্গল ও বুধবার তার পেনসিলভানিয়া এবং লোয়াতে সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমি এখন খুব চমৎকার অনুভব করছি।

তবে হোয়াইট হাউস থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্পের ভাষণের সমালোচনা করেছে বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট। কারণ তিনি করোনামুক্ত না হয়েই তার সমর্থকদের এভাবে সমাবেশে ডেকেছেন। ট্রাম্পের সমর্থকদের ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ বিষয়ে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, প্রেসিডেন্ট এবং তার সমর্থকরা স্বাস্থ্যগত সতর্কতা মেনে চলবেন।

তিনি বলেন, তাদের উচিত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার করা। তিনি আরও বলেন, এটাই করার মতো একমাত্র দায়িত্ব। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন ট্রাম্পের মুখে মাস্ক ছিল না। এছাড়া তার সমর্থক যারা সেখানে ভিড় করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই মাস্ক পরা থাকলেও সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ব কেউ মেনে চলেননি।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।