বাড়িতে বসে ৩০ মিনিটেই করোনা পরীক্ষার অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রে
অডিও শুনুন
এবার বাড়িতে বসেই করা যাবে করোনার পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) সম্প্রতি নতুন এক ধরনের সেলফ টেস্টিং কিটের অনুমোদন দিয়েছে। এই টেস্ট কিটের মাধ্যমে যে কেউ বাড়িতে বসেই জানতে পারবেন যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত কীনা।
মঙ্গলবার এফডিএ সেলফ টেস্টিং কিটের অনুমোদন দিয়েছে। এই টেস্টিং কিটের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
লুসিরা হেলথের তৈরি এই টেস্ট কিট মাত্র একবার ব্যবহারের জন্য। জরুরি ভিত্তিতে বাড়িতে ব্যবহারের জন্য এই টেস্ট কিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ১৪ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা সম্পর্কে জানা যাবে। এফডিএ জানিয়েছে, এই পরীক্ষায় একজন স্বাস্থ্য সহযোগী সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহায়তা করবেন।
এফডিএর কমিশনার স্টিফেন হ্যান জানিয়েছেন, এই প্রথম বাড়িতে নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হলো যা সম্পূর্ণ ব্যক্তির নিজস্ব পরিচালনায় সংগ্রহ হবে এবং বাড়িতে বসেই ফলাফল জানা যাবে।
এ ধরনের কিট হাসপাতালেও ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকরা বলছেন, ১৪ বছরের কম বয়সী কারও নমুনা পরীক্ষা করা হলে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্যকর্মী এ ক্ষেত্রে সহায়তা দেবেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার। প্রথম ধাপে চারটি রাজ্য রোড আইল্যান্ড, টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো এবং টেনেসি অঙ্গরাজ্যে তাদের তৈরি টিকার পরীক্ষামূলক সরবরাহের পাইলট কর্মসূচি চালু করেছে।
তবে এই সরবরাহ প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে তাপমাত্রা। ফাইজার উদ্ভাবিত টিকা সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্য সাধারণ টিকা রাখা হয় ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এক্ষেত্রে ফাইজারের এই টিকা সাধারণ ওষুধ বিতরণকারীদের কাছে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
ফাইজার এক বিবৃতিতে বলেছে, ভ্যাকসিনের পাইলট কর্মসূচি চালু হয়েছে। এতে আমরা আশা করতে পারি এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলো এবং আন্তর্জাতিক সরকারগুলোর জন্য এই সরবরাহ একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে। এরই মধ্যে ফাইজারের টিকা শতকরা ৯০ ভাগ সফল বলে প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭১১। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৫। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭০ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৬ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬০।
টিটিএন