করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: দ. কোরিয়ায় ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ
করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ঢেউ সাফল্যের সঙ্গে সামলে ওঠা গুঁটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি দক্ষিণ কোরিয়া। শুরুর কয়েক দিন হু হু করে সংক্রমণ বাড়লেও খুব শিগগিরই মহামারির লাগাম টেনে ধরেছিল দেশটি। তবে সম্প্রতি সেখানে আবারও বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের হার। গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৬২৯ জন, যা গত নয় মাসের মধ্যে দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
তবে শুক্রবারের রেকর্ড সংক্রমণের পরের দিন শনিবার কিছুটা কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন নতুন রোগী পাওয়া গেছে ৫৮৩ জন।
দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েছে মূলত রাজধানী সিউল ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে। এসব অঞ্চলে বসবাস করেন দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুই শতাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে শুধু সিউলেই।
করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে অভূতপূর্ব কারফিউ জারি করা হয়েছে কোরীয় রাজধানীতে। সেখানে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান রাত ৯টার মধ্যে বন্ধ করা হবে, কমানো হচ্ছে নৈশকালীন গণপরিবহনও। সিউলে শনিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে এ নিয়ম।
এসব বিধিনিষেধ এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির ওপর বড় আঘাত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই গত অক্টোবরে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ, যা জুলাইয়ের পর থেকে সর্বোচ্চ।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা রোগীদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর রোগীদের জন্য দেশটিতে শুক্রবার মাত্র ৫৯টি বেড খালি ছিল। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো পূরণ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (কেডিসিএ) তথ্যমতে, দেশটিতে এপর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৪০ জন।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে কারাওকে বার ও ধর্মীয় জনসমাবেশ বন্ধ করা হবে কি না সেই বিষয়ে রোববার সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সি-কুন।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/