করোনার নতুন ধরনে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছে ফাইজার-মডার্না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

অডিও শুনুন

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (রূপান্তরিত রূপ) প্রতিরোধে নিজেদের ভ্যাকসিন কেমন কাজ করবে, তা পরীক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও মডার্না। তাদের আশা, সম্প্রতি উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনেই ভাইরাসটির নতুন ধরন মোকাবিলা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখনও করোনার নতুন ধরন চিহ্নিত হয়নি। তবে হতে পারে সেটি ইতোমধ্যেই দেশটিতে পৌঁছে গেছে, কিন্তু শনাক্ত হয়নি।

সিডিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মধ্যে ভ্রমণ চালু থাকায় ভাইরাসের নতুন ধরন আমদানি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।

মডার্না বলেছে, ভাইরাসের নতুন ধরনটির বিরুদ্ধে তাদের ভ্যাকসিনে সৃষ্ট রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতাই যথেষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ তারা এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

আর ফাইজার বলেছে, ভ্যাকসিন নেয়া ব্যক্তিদের রক্তের নমুনায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন কেমন আচরণ করে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।

নভেল করোনাভাইরাস আগেও রূপান্তরিত হয়েছে এবং দুটো কোম্পানির ভ্যাকসিনই ভাইরাসটির রূপান্তরিত ধরনের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

jagonews24

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের রূপান্তরের গুরুত্ব অনিশ্চিত। এরপরও বেশ কিছু দেশ বাড়তি সতর্কতাস্বরূপ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল অ্যাডামস বলেন, আমরা যা করি, ভাইরাসের ব্রিটিশ ধরনটি তা বদলে দেবে না। আমাদের দরকার মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় পরিহার করা। আর দরকার একটা ভ্যাকসিন এবং সেটি পাওয়ার পর গ্রহণ করা।

অবশ্য ফাইজারের ভ্যাকসিনের যৌথ নির্মাতা জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের প্রধান দাবি করেছেন, তাদের ‘বৈজ্ঞানিক আত্মবিশ্বাস’ রয়েছে যে, ভ্যাকসিনটি নতুন ধরনের বিরুদ্ধেও কাজ করবে। তবে এ বিষয়ে পুরো তথ্য পেতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার বায়োএনটেক প্রধান নির্বাহী উগুর শাহিন বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন এই নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে কি না, তা এই মুহূর্তে জানি না। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এটি খুবই সম্ভব যে, এই ভ্যাকসিনের প্রতিরোধক্ষমতা ভাইরাসের নতুন ধরনটি মোকাবিলা করতে পারবে।

তিনি বলেন, নতুন ধরনটিতে নয়টি রূপান্তর ঘটেছে। তবে আগের ধরনের ১ হাজার ২৭০টি অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে নতুনটির পার্থক্য মাত্র নয়টিতে। সুতরাং, এর প্রোটিন কার্যত একই রয়েছে। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে বায়োএনটেক ভাইরাসের নতুন ধরনটির বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে ফেলতে পারবে।

সূত্র: সিএনএন

কেএএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।