সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে সক্ষম অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে পারে এবং একটি ডোজের পরেই করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণায় এই ফলাফল পাওয়া গেছে। এর ফলে ব্রিটিনের ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিকল্পনা মাফিক চলবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বুধবার অক্সফোর্ডের গবেষণার ফলাফলের প্রশংসা করে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বিবিসি রেডিওকে বলেন, ‘এটি বিশ্বকে দেখাচ্ছে যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন কাজ করে, বেশ ভালভাবে কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘এটি সংক্রমণের হার দুই-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। অতএব আমাদের কৌশল অনুযায়ীই ভ্যাকসিনটি কাজ করবে।’
প্রবীণদের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যকারিতা কেমন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই এই ফলাফল পাওয়া গেল। গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি প্রবীণদেরকেও এই ভ্যাকসিন নিতে সুপারিশ করেছে। তবে কিছু দেশ প্রবীণদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
জার্মানি ইতোমধ্যেই জানিয়েছে তারা ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের এই ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেবে না। ইতালির ওষুধ সংস্থা শনিবার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুপারিশ করেছে। তবে ৫৫ এর বেশি বয়স্কদের বিকল্প ভ্যাকসিনের সুপারিশ করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো গত সপ্তাহে বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশিদের জন্য ‘আংশিক-অকার্যকর’।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে লকডাউন চলছে। এর ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কবে এই লকডাউন শেষ হবে তাও অনিশ্চিত। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পরিস্থিতি যাচাই করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ফলাফল এখনো পিয়ার রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, যারা ভ্যাকসিনটি নিয়েছে তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৭ শতাংশ কম। অর্থাৎ ভ্যাকসিনটি ৬৭ শতাংশ কার্যকর।
এমকে/এএসএম