শঙ্কার মধ্যেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন চালিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ চালিয়ে যাবে বলে শনিবার জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার একটি ঘটনা ঘটায় এই ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
৪৪ বছর বয়সী একজন নারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে কয়েকদিন পরে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায় ভুগে মেলবোর্নের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওই নারী গুরুতর থ্রম্বোসিসের সমস্যায় ভুগছেন। এটি রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার একটি রোগ যার ফলে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যহত হয়।
দ্য থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিজিএ) নামের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অস্ট্রেলিয়ান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এটিএজিআই) নামের একটি প্যানেল শুক্র ও শনিবার বৈঠকে বসে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে কী পরামর্শ দেয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মাইকেল কিড বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ স্থগিতের ব্যাপারে আমরা এটিএজিআই অথবা টিজিএ থেকে কোনো পরামর্শ পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনাটি এই ভ্যাকসিনের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি খুবই কম। তবে নিরাপত্তা সবার আগে এবং এজন্যই এটিএজিআই ও টিজিএ এ বিষয়ে তাদের অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে।’ এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আরও ঘোষণা আসবে বলেও জানান কিড।
ব্রিটেনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে রক্ত জমাট বাঁধার ৩০টি ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনেও একই ধরণের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
ইউরোপের বেশ কিছু দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষনা করেছিল। পরবর্তীকালে এই ঘোষণা তুলে নেয় দেশগুলো। তবে নতুন করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস জানিয়েছে, ৬০ বছরের কম বয়সীদের তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেবে না।
এমকে/এএসএম