যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে সতর্কতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। সপ্তাহখানকে ধরে প্রায় প্রতিদিনই ভাঙছে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যুর রেকর্ড। এই অবস্থায় অপরিহার্য না হলে মার্কিন নাগরিকদের ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।

মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থাটির জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের করোনা পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিডিসি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরোপুরি টিকা নেয়া পর্যটকদেরও করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার এবং সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। সে জন্য পর্যটকদের এখন যেকোনও কারণে ভারত ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যদি কারও ভারতে যেতেই হয়, তাহলে ভ্রমণের আগে অবশ্যই টিকার সব ডোজ নিতে হবে। এছাড়া পর্যটকদের অবশ্যই মাস্ক পরা, অন্যদের থেকে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং হাত ধোয়া উচিত।

jagonews24

ভারতে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র পর্যটকদের শুধু সতর্ক করলেও এক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যে ভারত সফর বাতিল করেছেন। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, করোনার নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণের কারণে আগামী শুক্রবার থেকে কোনও ভারতীয় নাগরিক যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শতাধিক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নিল ব্রিটিশ প্রশাসন। তবে ভারত থেকে কোনও ব্রিটিশ নাগরিক যুক্তরাজ্যে ফিরলে তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে হবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্য ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাকে।

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ হাজার ৭৬১ জন, যা দেশটিতে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এদিন সেখানে নতুন করে ২ লাখ ৫৯ হাজার মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।

সূত্র: এনডিটিভি

কেএএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।