কাবুলে ড্রোন হামলায় নিহত বেড়ে ১০, তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আমাল আহমদীর দুই বছরের মেয়ে মারা যায়। ছবি: বিবিসি

আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ছয় শিশুসহ একই পরিবারের ১০ জন মারা গেছেন। বেসামরিক এসব মানুষের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগন বলছে, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারীর ওপর মার্কিন ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, এমন দাবির বিরোধিতা করা যাবে না।

মার্কিন সেনাবাহিনী দাবি করছে, তারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগান শাখার সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তিকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ওই হামলা চালিয়েছিল।

রোববারের (২৯ আগস্ট) সেই হামলায় আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, একটি গাড়িতে করে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালাতে চেয়েছিল।

তবে সেদিনের হামলায় কাবুলে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

jagonews24ছবি: বিবিসি

এ বিষয়ে মার্কিন কমান্ডাররা বলছেন, গাড়িতে ড্রোন হামলার পর শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে ওই গাড়ির ভেতরে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল। ফলে অতিরিক্ত এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।

হামলার কথা স্মরণ করে নিহতদের এক আত্মীয় রামিন ইউসুফি কান্না করতে করতে বলেন, তারা কেন আমাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে? আমাদের সন্তানদের কেন হত্যা করেছে? তারা এতো পুড়ে গেছে যে আমরা শনাক্ত পর্যন্ত করতে পারছি না।

আমাল আহমদী নামে আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি এই হামলায় তার দুই বছরের মেয়েকে হারিয়েছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। এ জন্য বিমানবন্দরে যেতে একটা ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন।

২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালায় আইএসের খোরাসান শাখার জঙ্গিরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য রয়েছেন ১৩ জন।

জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।