ইয়েমেনে দুইমাসে ৪৭ শিশু হতাহত: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১২ মার্চ ২০২২

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে অন্তত ৪৭ শিশু হতাহত হয়েছে। চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে সম্প্রতি দেশটিতে সহিংসতা বেড়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) শনিবার ১২ মার্চ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

সংস্থাটি জানায়, ইয়েমেনে দশক ধরে চলা সহিংসতায় শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। কারণ ২০১৫ সালের পর কমপক্ষে ১০ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। এই সময়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট মধ্যপ্রাচ্যর দরিদ্র এই দেশটিতে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়েছে।

ইয়েমেনে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ফিলিপ ডুয়ামেল এক বিবৃতিতে বলেন, এ বছরের প্রথম দুই মাসে ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ৪৭ শিশু হতাহত হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭১ শিশু নিহত হয়েছে ও শতাধিক আহত হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় প্রেসিডন্টে ভ্লাদিমির পুতিন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাদের এই অভিযানে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে ইয়েমেনে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।

সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়তে হুথি বিদ্রোহীদের ইরান অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রিয়াদ। ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ানোর পর গত কয়েক বছরে তারাও বেশ কয়েকবার সীমান্ত এলাকায় হামলার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি সৌদির বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

এমএসএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।