থার্টিফার্স্ট নাইটে দিল্লির রাস্তায় থাকবেন ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য

থার্টিফার্স্ট নাইটে মাতাল ও বেপরোয়া গাড়িচালকদের আটকাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৮ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দীপেন্দ্র পাঠক বলেন, ইংরেজি নববর্ষের সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত— এ দুটি বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। এ রাতে যাবতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত দিল্লি পুলিশ।
‘তাই রাতে মাতাল ও বেপরোয়া গাড়ি চালকদের ঠেকাতে পুরো শহর জুড়ে ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি নারী পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, আমরা নয়াদিল্লিতে ১২৫টিরও বেশি স্পট চিহ্নিত করেছি। থার্টিফার্স্ট নাইটে মদ্যপান করে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা এসব স্পটে অনেক বেশি। তাই পুলিশ সদস্যরা রাত ৮টা বাজার পরপরই এসব জায়গায় তৎপরতা শুরু করবেন।
জানা যায়, এরই মধ্যে দিল্লি পুলিশের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে নয়াদিল্লির প্রতিটি পুলিশ স্টেশনে গাড়ি চালানো সম্পর্কিত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সে নির্দেশনায় মদ্যপ গাড়িচালক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি স্পট হলো, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির সুরিয়া হোটেল, লাজপতনগর সেন্ট্রাল মার্কেট, জনকপুরি ডিস্ট্রিক্ট সেন্টার, গ্রেটার কৈলাশ এলাকার এম অ্যান্ড এন ব্লক মার্কেট, লোধি শিল্প এলাকা, কুতুব মিনার, ছত্তরপুর, দ্বারকা এলাকার ভেগাস মল, মুখার্জীনগর, করলবাগ, তিলকনগর, পাতিমপুরা, মডেল টাউন।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছর থার্টিফারস্ট নাইটে নয়াদিল্লির রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর দায়ে ৬৫৭ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ