ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে ফের বাম-কংগ্রেস জোট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর গত পাঁচ বছরে বেশিরভাগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই পালন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। মূলত এই ইস্যুতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের কথা মাথায় আনে। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন কিছুটা হলেও জট কাটলো এই ঐক্যবদ্ধ জোটের।

এর আগেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে বাম-কংগ্রেস। কিন্তু ফল আশানুরূপ হয়নি।

আরও পড়ুন>বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়া বইছে ত্রিপুরায়

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে মোট ৩১০টি মনোনয়ন জমা দেয়। কিন্তু ২ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগ পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই জোট ইস্যুটি স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছিলো না। অবশেষে বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যথাক্রমে ১৩ এবং ৪ টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেই স্পষ্ট হওয়া যায় জোট ইস্যুটি।

মূলত আসন সমঝোতার ভিত্তিতেই নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে বাম এবং কংগ্রেস। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই এই ইঙ্গিত মিলছিলো। একাধিকবার চার দেওয়ালের অভ্যন্তরে বৈঠকও করতে দেখা গেছে তাদের।

আরও পড়ুন>ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

বামেদের পক্ষে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, বিজেপি'র শাসন থেকে রাজ্যকে মুক্ত করতে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই আন্দোলনে শামিল হতে হবে। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আলোচনা হয় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। এদিক থেকে জোট উপেক্ষা করে অতিরিক্ত আসনগুলোতে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তারা প্রত্যেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন করেছেন। অর্থাৎ তারা যে জোটেই থাকছেন এটিও স্পষ্ট হওয়া যায়।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা এদিন বলেন, বিজেপি'র অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করবো। গণতন্ত্র প্রিয় সব অংশের মানুষকেই একত্রিত হতে হবে। রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি, উন্নয়ন, সুষ্ঠু প্রশাসন, সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সব অংশের জনগণই এগিয়ে আসুন।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।