শনিবার টাইফুন আঘাত হানতে পারে
সুপার টাইফুন ‘হাগুপিট’ ধেয়ে আসায় ফিলিপাইনের উপকূলীয় এলাকার বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্তত ৫ লাখ মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। তারা উঁচু জায়গা, স্কুল কলেজ, গির্জা, স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশটির উপকূলীয় পূর্বাঞ্চলীয় সামার প্রদেশ ও তাকলোবান শহরে ‘হাগুপিট’ সরাসরি আঘাত হানতে যাচ্ছে। এতে দেশটিতে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট টাইফুন হাগুপিট আরো শক্তিশালী হয়ে ‘সুপার স্ট্রমে’ পরিণত হয়ে ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ইতোমধ্যে ৫ লাখ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফিলিপাইন এয়ারলাইন্স ও সেবু প্যাসিফিক ১৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে কয়েক হাজার যাত্রী আটকে পড়েছেন। সমুদ্র পরিবহনও বাতিল করা হয়েছে।
‘হাগুপিট বা রুবি’ নামে পরিচিতি ঝড়টির আশপাশে শুক্রবার সকালে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আড়াইশ’ কিলোমিটার। তবে রাতে বাতাসের গতি সামান্য কমে আসায় ঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। শনিবার বিকেলে এটি আঘাত হানতে পারে।
দেশটির পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলীয় সামার প্রদেশ এবং তাকলোবান শহরে ‘হাগুপিট’ সরাসরি আঘাত হানতে যাচ্ছে। এক বছর আগেও টাইফুন ‘হাইয়ানের’ আঘাতে এই অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি এবং জলোচ্ছাসের সম্ভাবনাও রয়েছে। এমনকি ভূমিধ্বসও হতে পারে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকার স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করে রাখতে মানুষ দোকান ও পেট্রোল পাম্পে ভিড় জমাচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে স্থানীয় সময় ৪টায় ( বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়) হাগুপিট সামার প্রদেশ থেকে ঝড়টি ৫০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে এটি এগুচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার।