সাপের পিৎজা নিয়ে এলো পিৎজা হাট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে সাপের মাংস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড, চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে সাপের মাংস বেশ জনপ্রিয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এবার সাপের মাংস দিয়ে তৈরি পিৎজা নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত চেইন ফুড শপ পিৎজা হাট। হংকংয়ের আউটলেটে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যাবে নতুন এ পিৎজা।

বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকংয়ের শতবছর পুরোনো ‘সের ওং ফান’ রেস্টুরেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাপের মাংস দিয়ে তৈরি এই পিৎজা নিয়ে এসেছে। মূলত ‘সের ওং ফান’ রেস্টুরেন্ট ১৮৯৫ সাল থেকে সাপের মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার বিক্রি করে আসছে।

আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রেও মিলবে কৃত্রিম মাংস

পিৎজার এই নতুন ফিউশনে সাপের মাংস, কালো মাশরুম ও শুকনো চাইনিজ হ্যামের টপিংস রয়েছে, যার সাইজ ৯ ইঞ্চি। এটি প্রচলিত টমেটো সসের পরিবর্তে অ্যাবালোন (এক ধরনের ঝিনুক) সসের সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে বাজারে আসে সাপের মাংস দিয়ে তৈরি এই পিৎজা। এর আগে এক বিবৃতিতে পিৎজা হাট হংকং জানিয়েছিল, পনির আর মুরগির মাংসের সঙ্গে সাপের মাংসের স্বাদই অন্যরকম। সাপের মাংস দিয়ে তৈরি পিৎজা খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়তে পারে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে।

আরও পড়ুন:  একজোড়া বাজপাখির দাম ৪৫ লাখ টাকা!

সাপের এই পিৎজা খেয়ে হংকংয়ের এক ব্যক্তি জানান, পিৎজাটি দেখতে কিছুটা মুরগির মাংস দিয়ে বানানো পিৎজার মতো। এর স্বাদ অনেকটা মাছ ও সামুদ্রিক খাবারের মতো। শীতকালে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার হিসেবে এ পিৎজাটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।

চীনের আঞ্চলিক ভাষা ক্যান্তোনিজে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে। সেটি হলো, সাপ খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় যখন শরতের বাতাস বইতে শুরু করে। কারণ ওই সময় সাপ শীতকালীন নিদ্রা শুরু করার ফলে বেশ মোটাসোটা হয়।

আরও পড়ুন: ১৫৩৭ কোটি টাকায় বিক্রি হলো পিকাসোর চিত্রকর্ম

অনেকের বিশ্বাস, সাপের মাংসে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। এছাড়া এটি ত্বকের জন্য উপকারী ও শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। চীনের প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনে করা হয়, সাপের মাংস খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

সূত্র: সিএনএন

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।