১ মার্চের মধ্যে শপথ নেবেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট /ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ নেবেন আগামী ১ মার্চের মধ্যে। দেশটির একাধিত সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আল আলভি বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বা শুক্রবার (১ মার্চ) প্রেসিডেন্ট ভবনে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে ১ মার্চের মধ্যে শপথ নিতে হবে। তার আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বা ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যরা (এমএনএ) সমর্থন জানিয়ে সংসদের নেতা নির্বাচন করবেন। প্রধানমন্ত্রী তার পদের শপথ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করবেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের শপথও পড়াতে।

আরও পড়ুন: 

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ঈসা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির (জেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, সেনাপ্রধান (সিওএএস) জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির, নৌবাহিনীর স্টাফ অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবের, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার, তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা।

এছাড়া উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক, ফেডারেল সচিব, পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল, পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল, পাঞ্জাব ও সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক গভর্নর এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

পাকিস্তানি সংবিধানের ৪১(৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে, পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কারণে যদি ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না পারে, সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।

আরও পড়ুন: 

সূত্র জানিয়েছে, পিপিপি, পিএমএল-এন ও তাদের অংশীদাররা চায়, বর্তমান সিনেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আগামী ৮ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এরপর সিনেট নির্বাচন করতে চায় শাহবাজ-বিলওয়ালদের জোট।

এর আগে, গত মঙ্গলবার পিএমএল-এন এবং পিপিপি ঘোষণা দেয়, তারা আসিফ আলি জারদারিকে প্রেসিডেন্ট এবং শাহবাজ শরিফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

পিপিপি’র সিনেটর ফারুক এইচ নায়েক বলেছেন, সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মানে হলো, আগামী ৯ মার্চের আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র: ডন

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।