অবৈধ অভিবাসীদের ‘পশু’ বললেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের আগে অবৈধ অভিবাসনকে বড় ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের ‘রক্ত খারাপ করছে’ মন্তব্য করে এর আগে বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন তিনি। এবার তার চেয়েও কঠোর ভাষায় নথিবিহীন অভিবাসীদের আক্রমণ করলেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, তার চোখে অবৈধ অভিবাসীরা মানুষই নন!

গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মিশিগানে রিপাবলিকানদের নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্যকালে যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক হত্যাকাণ্ডের কথা টেনে আনেন ট্রাম্প। ৭৭ বছর বয়সী নেতা দাবি করেন, তিনি পুনর্নির্বাচিত না হলে যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতা ও অরাজকতায় ডুবে যাবে।

আরও পড়ুন>>

সম্প্রতি দেশটির জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে লাকেন রাইলি নামে ২২ বছর বয়সী এক নার্সিং শিক্ষার্থীকে একজন ভেনেজুয়েলান অবৈধ অভিবাসী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের মানুষ বলা যায় না।

তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটরা বলে, ওদের (অবৈধ অভিবাসী) পশু বলবেন না। ওরা মানুষ। কিন্তু আমি বলি, না, ওরা মানুষ নয়। ওরা পশু।

ট্রাম্প এর আগে একাধিকবার দাবি করেছেন, অবৈধভাবে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীরা তাদের নিজ দেশে কারাগার ও আশ্রয়স্থল থেকে পালিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সহিংস অপরাধে ইন্ধন যোগাচ্ছে।

আরও পড়ুন>>

যদিও প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে ভিন্ন কথা। গবেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী মানুষদের তুলনায় স্থানীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকরাই সহিংস অপরাধে বেশি জড়িত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন অভিযোগ করেছেন, দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার এবং অবৈধ অভিবাসন কমানোর লক্ষ্যে একটি আইন পাস করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এর বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যদের উৎসাহিত করেছেন ট্রাম্প।

বাইডেনের প্রচারণা দলের যোগাযোগ পরিচালক মাইকেল টাইলার সাংবাদিকদের বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দেশে বিভাজন, ঘৃণা এবং সহিংসতা বাড়াতে পারে এমন চরম বাগাড়ম্বরে জড়িত হচ্ছেন।

সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।