স্কুল শিক্ষার্থী আয়াজ হত্যা মামলা

আসামি জিসানকে নির্যাতন, তদন্ত কর্মকর্তার লিখিত ব্যাখ্যা চান আদালত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফাইল ছবি

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলার আসামি জিসানকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সাহিদুল বিশ্বাসকে আগামী রোববারের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের বিরোধের জেরে এক দশকের বেশি সময় আগে আয়াজ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ধানমন্ডি থানার তৎকালীন এসআই) সাহিদুল বিশ্বাসকে আজ ৯ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হয়ে নিজের ভূমিকার ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।

মামলায় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন। আসামিরা তখন সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। রায়ে ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জিসান ও তৌহিদুল ২০২১ সালে পৃথক আপিল করেন। আপিলের ওপর গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে আসামি জিসানকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ তুলে ধরেন তার আইনজীবী। আদালতে জিসানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার শুনানিতে ছিলেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, দুবার রিমান্ডে নিয়ে জিসানের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। তার পায়ে পচন ধরে যায়, এ জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। নির্যাতনের কারণে সেখানে বার্ন ইউনিটে রেখে তাকে ১৫ দিন চিকিৎসা দিতে হয়।

শিশির মনির বলেন, বিষয়গুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছি, নথি থেকে দেখিয়েছি। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাহিদুল বিশ্বাস। তখন তিনি ধানমন্ডি থানার এসআই ছিলেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীর আদালতে হাজির হয়ে তাকে আচরণের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আগামী রোববারের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।