চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে রাবেয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূ হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী মো. জামিনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সহযোগী জামিনের ভগ্নিপতি মো. মোস্তফাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ (প্রথম আদালত) আবদুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জামিন কিশোরগঞ্জের করপাশ ইউনিয়নের দক্ষিণহাটি গ্রামের দুলু বাড়ির শাহ আমিনের ছেলে এবং মো. মোস্তফা একই জেলার নিকলী থানাধীন দামপাড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন হত্যা মামলায় তার স্বামী মো. জামিনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া মামলার অপর আসামি মো. মোস্তফাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার দু্ই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে রাবেয়া খাতুনের প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে দুই কন্যা সন্তান রেখে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় রাবেয়ার। পরে ২০২২ সালে মো. জামিনের সঙ্গে বিয়ে হয় রাবেয়ার। তারা চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানার এক নম্বর লেনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি এনজিও (সমিতি) থেকে টাকা তোলার কথা বলে রাবেয়াকে তার স্বামী চাচার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ফর্মে সই দিতে বললে রাবেয়া অস্বীকৃতি জানিয়ে তর্ক করে বাসায় চলে যায়। পরে ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জামিন তার স্ত্রীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রাবেয়ার বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে মো. জামিন এবং তার সহযোগী মো. মোস্তফাকে অভিযুক্ত করা হয়।
এমডিআইএইচ/এমএএইচ/এমএস