পরকীয়ার জেরে ১০ টুকরো করে হত্যা, দুইজনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ২৯ মে ২০২৫
মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ কবিরাজ/ সংগৃহীত ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে পরকীয়া প্রেম ও লেনদেনজনিত বিরোধের জেরে কবিরাজ মফিজ হত্যা মামলায় দুইজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ আদেশ দেন।

মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বিউতা হিন্দুপাড়া গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার লাকী ওরফে হাসিনা (৩৭) ও একই এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩৯)।

আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি নজরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের বিউতা কবরস্থানের সামনের ডোবা থেকে কবিরাজ মফিজের হাত-পা-মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই এস এম মেহেদী হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, নিহত মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ কবিরাজ (৪০) ঢাকার সাভার থানার ভাকুর্তার কাইশ্যারচরের মতিউর রহমানের ছেলে। মামলার তদন্ত চলাকালে ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার হন আসামি মাকসুদা ও সালাউদ্দিন। পরে জামিন পেয়ে পলাতক হন তারা।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, এটি একটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। একজন মানুষকে মেরে ১০ টুকরো করা- এটা কোনো সভ্য সমাজের মানুষের কাজ হতে পারে না। হত্যার পর আসামিরা সেই মরদেহ মাগুর মাছকে খাওয়ানোর জন্য একটি খামারে ফেলে দেয়। আদালতে ১৯ জন সাক্ষী সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মূলত ভিকটিমের খণ্ডিত মরদেহের সাথে তার ছেলের মিল পাওয়া যায়। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

এমআইএন/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।