২০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভূঁইয়া
২০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুদকের করা মামলায় এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
তার আপিল মঞ্জুর করে রোববার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে খালাস দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও এস এম শাহজাহান, আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ।
২০০৭ সালের ৩ মার্চ এ মামলায় করা হয়। একই বছরের ৬ জুন চার্জশিট দেওয়া হয়। ২২ জুলাই রায় দেওয়া হয়। রায়ে তিন ধারায় মোট ২০ বছর দণ্ড (৩ বছর, ১০ বছর ও ৭ বছর) দেওয়া হয়।
জ্ঞাত বহির্ভূত ছয় কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় জজ আদালত ওই রায় দেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। এরপর তিনি একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিলের শুনানি শেষে রোববার রায় দেওয়া হয়।
রায়ের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সম্পদের হিসাব বিবরণীর মামলা এটি। ১/১১ এর সময় বিএনপির নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করে এ রকম মামলা দেওয়া হয়েছে। যেগুলো আইনসিদ্ধ ছিল না। আজকের এ রায়ের মাধ্যমে আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া বেকসুর খালাস পেয়েছেন। একই সঙ্গে সহায় সম্পদ জব্দ করে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল সেটাও বাতিল করা হয়েছে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম