উত্তরায় হত্যাযজ্ঞ: আ’লীগের ২ নেতাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের (২০২৪ সালের) জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন তারা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার।
এর আগে প্রসিকিউশনের পক্ষে ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদন শুনানি নিয়ে সেটি মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। তাদেরকে আগামী ২২ অক্টোবর হাজিরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন
আন্দোলন দমনে দেশে ৩ লাখ ৫ হাজার গুলি ছুড়েছিল পুলিশ
ট্রাইব্যুনালে ১৭ ভিডিও প্রদর্শন, উঠে এলো হত্যার নির্মম চিত্র
ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- মো. সোহেল রানা ও মো. শাহ আলম। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন তারা। এর মধ্যে সোহেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ও শাহ আলমের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। তবে দুজনই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তরায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করা হয়।
এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
ওইদিন সকালে ৯ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। আতিক ছাড়া অন্যরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় সাবেক মেয়র আতিকসহ আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন আসামিরা।
এফএইচ/কেএসআর