ওসমান হাদি হত্যা

হামলাকারীদের পালাতে সহায়তাকারী সিবিয়ন-সঞ্জয় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকার আদালতে সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম/ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার সন্দেহভাজন হামলাকারীদের সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে সহায়তাকারী সিবিয়ন দিও (৩২) ও সঞ্জয় চিসিমের (২৩) ফের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ সংক্রান্ত মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন।

হাদি হত্যায় সীমান্ত পারাপারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে ডিবি। সংস্থাটির তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগীদের অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে সহায়তা করেছেন সিবিয়ন ও সঞ্জয়।

ডিবির রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক অভিমুখী সড়কে চলন্ত অটোরিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় দণ্ডবিধির ১২০(বি), ৩২৬, ৩০৭, ১০৯ ও ৩৪ ধারার সঙ্গে ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে ডিবির মতিঝিল জোনাল টিম তদন্ত করছে।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগীরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যান। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার তথ্য, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া গেছে। সীমান্ত পারাপারকারী চক্রের হোতা হিসেবে ‘ফিলিপ’ নামের এক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে। তার অবস্থান শনাক্ত, গ্রেফতার এবং হত্যাকাণ্ডে অর্থদাতা, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারীদের শনাক্ত করতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম গ্রেফতার দুজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তিনি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামিদের পুলিশকে ঘটনা তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন।

এমডিএএ/একিউএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।