টিকাটুলিতে সংঘর্ষ : বিএনপির ৮ কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানীর টিকাটুলিতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার বিএনপির ৮ কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ আদেশ দেন। ওয়ারি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ দিন একদিনের রিমান্ড শেষে পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারি থানার উপ-পরিদর্শক জুলফিকার আলী মামলার তদন্ত শেষে না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তারা হলেন- জামিল আহম্মেদ তুহিন, বিল্লাল হোসেন, সোহেল, ফারুক ও আকরাম হোসেন মুন্না। এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে আজ বিএনপির কর্মী গোলাম মোহাম্মদ বুলবুল, রাব্বি ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব তাদের জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকা দক্ষিণের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আহমেদ। যদিও এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজনকে দোষারোপ করেছে বিএনপি।
রোববার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হন।

সংঘর্ষের বিষয়ে বিএনপি কর্মীরা বলছেন, মতিঝিল এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে দুপুর ১টার দিকে ইশরাক মিছিল নিয়ে গোপীবাগে নিজ বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা’ তাদের ওপর হামলা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইশরাক মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ওই মোড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদ এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী লাভলী চৌধুরীর কর্মীরা উপস্থিত হন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগানের একপর্যায়ে উত্তেজনা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে তা ঢিল ও চেয়ার ছোড়াছুড়িতে রূপ নেয়।

সংঘর্ষের পর ইশরাক হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, তাদের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন বিনা উসকানিতে হামলা করেছে।

মামলার বিষয়ে পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হান্নানুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, রোববার দুপুরে টিকাটুলি এলাকায় বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগের ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলা, নৌকাবিরোধী স্লোগান, মারধর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছেন- এমন অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী মাকসুদ আহমেদ মামলা করেছেন।

জেএ/এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।