দুর্নীতির মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন চেম্বারে স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ২৩ জুন ২০২০

ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

দুদকের আবেদন শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জুন) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের ভার্চুয়াল চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন স্থগিত না করে নিয়মিত বেঞ্চে যেতে বলেছিলেন।

ওই দিন আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী শামসুন নাহার কনা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন শাহরিয়ার কবির বিপ্লব।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, অর্থ পাচার মামলায় টাঙ্গাইল বিশেষ জজ আদালতের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। আদালত দুদকের আবেদনটি নিয়মিত আদালতে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।

আগের তিন মামলার জামিননামার শর্ত অনুযায়ী রাশেদুল হক চিশতীর জামিন থাকছে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। শর্তগুলো হলো- পাসপোর্ট জমা দেয়া, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়া, পদ্মা ব্যাংকে প্রবেশ না করা এবং তদন্ত কার্যে হস্তক্ষেপ না করা। আর দুদকের জামিন বাতিলের আবেদন নিয়মিত আদালতে শুনানি হবে।

আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আজ দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

তিনি জানান, টাঙ্গাইলে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন গত ৩ জুন হাইকোর্ট বাতিল করে ওই আদালতকে দুদক ও রাষ্ট্র পক্ষকে শুনে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছিলেন। এরপর গত ১৪ জুন টাঙ্গাইল বিশেষ জজ আদালত শুনানি করে পুনরায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করি। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ এ আদেশ দেয়া হয়।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, এসটুএস করপোরেশনের ঋণ হিসাব থেকে রাশেদুল হক চিশতির নামে ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় বিক্রয় পে-অর্ডার ইস্যু করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করে। মামলায় আসামি সংখ্যা চারজন। মামলাটি টাঙ্গাইল বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এফএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।