‘বালুখেকো’ সেলিম খানের জামিন মেলেনি, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২২

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনকারী সেলিম খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক (অধস্তন) আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সেলিম খানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশেদ আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফৌজিয়া আক্তার পপি।

পরে ফৌজিয়া আক্তার পপি সাংবাদিকদের বলেন, সেলিম খান জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে তার আবেদন খারিজ করে তাকে বিচারিক আদালতে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ‘বালুখেকো’ সেলিম খানের বিরুদ্ধে গত ১ আগস্ট মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইদিন দুদক কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা করেন।

মামলায় সেলিম খানের মোট ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অবৈধ এবং প্রায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয় বলে জানান সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার। গত বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ১০০টি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের একদিন আগেই গত ৩১ জুলাই মামলা অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, অনুসন্ধানে সেলিম খানের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণও মিলেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে সেলিম খানের নামে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাটসহ সম্পদের দালিলিক মূল্য অনুযায়ী মোট সম্পদের হিসাব করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তিনি সম্পদের দাম কম উল্লেখ করে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। প্রকৃত ও বাজারমূল্য অনুযায়ী তার নামের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য শতকোটি টাকারও বেশি।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।