অর্থপাচার: টেলিটকের সাবেক ব্যবস্থাপক জোবায়েরের ১২ বছর কারাদণ্ড

অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপক (চাকরিচ্যুত) শাহ মো. জোবায়েরকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। এ দিন আদালত পলাতক আসামি শাহ মো. জোবায়েরের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাহ মো. জোবায়ের টেলিটকে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০০৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ ৫৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উপার্জন করেন। অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরার এইচএসবি শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে বেতনবহির্ভূত অর্জিত ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা করে এফডিআর করেন।
এছাড়া প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে অর্জিত ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জমা করেন। যার মধ্যে ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকার এফডিআর ও ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৬৫ টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করেন।
তাছাড়া আসামি ব্র্যাক ব্যাংক নর্থ গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জমা ও উত্তোলন করেন। বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখার হিসাবে আসামি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জমা ও উত্তোলন করেন।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংক মিরপুর-১ শাখায় ৫ লাখ টাকা জমা ও উত্তোলন করেন। এভাবে জোবায়ের বেতন-ভাতা বাদে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত মোট ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৭ টাকা অর্জন এবং অন্যত্র স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের মধ্যে পড়ে।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন শাহ মো. জোবায়েরকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান।
২০১৯ সালের ১৩ জুন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
জেএ/এমআইএইচএস/এএসএম