জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রিট শুনানি হতে পারে বুধবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
জজ মিয়া/ফাইল ছবি

জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে যে রিট করা হয়েছে, তার শুনানি বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হতে পারে।

জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্বাস উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) থাকতে পারে।

এর আগে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রিটে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এছাড়া গ্রেনেড হামলায় জজ মিয়াকে যারা জড়িয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করতে আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর কারাগারে থাকায় জজ মিয়ার আর্থিক ও সামাজিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণ আদায় করার কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিআইডি, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সাবেক স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন, সাবেক এসপি আব্দুর রশিদ, সাবেক এসপি মুন্সী আশিকুর রহমান, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ জনকে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব জাগো নিউজকে জানান, সোমবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

এর আগে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ১১ আগস্ট সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশে বিবাদীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিটটি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়াকে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।

২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ ও মুকুল প্রমুখ।

পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়াকে। সে সময় বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে।

বিজ্ঞাপন

এফএইচ/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।