ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চরকেদার খোলায় বালু তোলা স্থগিতের নির্দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বীরগাঁওয়ের পশ্চিম চরকেদার খোলা বালুমহাল থেকে বালু তোলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া এ বিষয়ে পশ্চিম চরকেদার খোলা বালুমহালের ইজারা বাতিল, বালুমহাল বিলুপ্তকরণ, বালুমহাল সংলগ্ন এলাকার নদীভাঙন রোধ ও বসতভিটা সংরক্ষণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া চিঠি নিষ্পত্তি করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. লিটন।
এর আগে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকার গোলাম কিবরিয়া নামের এক এ নিয়ে ব্যক্তি রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইজারার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেঘনা নদীতে ফ্রি স্টাইলে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। প্রতিদিন প্রায় ২০টি ড্রেজার দিয়ে নদীর চর ঘেঁষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এমনকি সুযোগ বুঝে ড্রেজার লাগিয়ে মেঘনা চরের ফসলি জমি পর্যন্ত কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে চরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি তীরবর্তী চরলালপুর গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছে বলেও প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এফএইচ/এএএইচ/এমএস