সুপ্রিম কোর্ট বারের এজিএম ২ এপ্রিল

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ এপ্রিল। সেদিন ২০২২-২০২৩ সেশনের সম্পাদকের প্রতিবেদন, কোষাধ্যক্ষের অডিট প্রতিবেদন এবং ২০২৩-২০২৪ সেশনের নবনির্বাচিত কমিটির ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ২ এপ্রিল, রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভার আলোচ্যসূচি হলো- সম্পাদকের ২০২২-২০২৩ সেশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন, কোষাধ্যক্ষের অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন, ২০২৩-২০২৪ সেশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির পরিচিতি ও নবনির্বাচিত সভাপতির ভাষণ এবং বিদায়ী সভাপতির বিদায়ী ভাষণ।
আরও পড়ুন: পুলিশের হামলার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি ২৭ মার্চ
এর আগে ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন (২০২৩-২৪) হয়। এর মধ্যে ১৩ মার্চ নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় নির্বাচন পরিচালনার উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা। পাল্টা হিসেবে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন।
পাল্টাপাল্টি এই অবস্থানের মধ্যে আওয়ামী লীগপন্থিদের মনোনীত আহ্বায়ক ভোটের কার্যক্রম শুরু করতে গেলে বাধা দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থি কিছু আইনজীবী ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন। এ নিয়ে ১৪ মার্চ রাতে সমিতি ভবনে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর রেশ ভোটের প্রথম দিনে অর্থাৎ ১৫ মার্চ সকাল থেকেই দেখা যায়।
নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কোন উপ-কমিটির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে, এমন প্রশ্নে তর্কে জড়ায় দুই পক্ষ। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ গিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পিটিয়ে সমিতির মিলনায়তন (ভোটকেন্দ্র) থেকে বের করে দেয়। পুলিশের হামলায় আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হন। উপ-কমিটির আহ্বায়ক নিয়ে বিএনপি–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের আপত্তি এবং এর জেরে ভাঙচুর, পুলিশের পিটুনি, হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যে ১৫ ও ১৬ মার্চ ভোট হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের বেপরোয়া হামলার শিকার সাংবাদিকরা
গত ১৬ মার্চ রাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদের সব কয়টিতেই জয় পান আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্যানেলের আইনজীবীরা। তবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা না দিলেও নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম