দারুল ইহসানের সনদধারী শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে হাইকোর্টের রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৫ পিএম, ২৮ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের গ্রহণযোগ্যতা ও এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে রিটকারী তিন শিক্ষককে কেন এমপিওভুক্ত করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বিবাদীদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষকদের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারির আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন ও শাম্মী আক্তার। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সুমিত্রা দাস ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সনদধারীদের চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় অন্তর্ভুক্তিতে জটিলতা তৈরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথক পৃথক কয়েকটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে একটি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

ওই রায়ে কয়েকটি নির্দেশনার পাশাপাশি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্তদের বিষয়ে তাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর সিদ্ধান্তের ভার অর্পণ করা হয়। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট একটি অফিস আদেশ জারি করে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত সনদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং উক্ত সনদের ভিত্তিতে এরই মধ্যে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত সংক্রান্ত সব কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গ্রহণ করবে।

পরদিন অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট উক্ত অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে পুনরায় আরেকটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর ফলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত সনদধারীদের এমপিওভুক্ত সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

অথচ স্থগিত সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত একাধিকজনকে এমপিওভুক্তির সুবিধা প্রদান করা হয়। এসব বিষয়ে বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে তিন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। পটুয়াখালী ভুপালের মো. মনিরুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের মো. বশির উদ্দিন ভূঁইয়া এবং রাজশাহীর মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন।

এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।