শিশু হত্যা

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ২৯ মে ২০২৩

 

চট্টগ্রামে ১০ বছরের শিশু হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. নাসির ওরফে নাসিমকে ১৩ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। রোববার (২৮ মে) জেলার লোহাগাড়া থানা সংলগ্ন চুনতি রেঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র‍্যাব-৭। একই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মূল আসামি শাহপরানকেও গত ২৬ মে রাউজান থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব সদস্যরা।

র‍্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতার শাহপরান ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দেলোয়ারা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই সংসারের অভাব অনটনসহ নানা বিষয়ে স্ত্রীকে শারীরিক নির‍্যাতন করতেন শাহপরান। এরপর দেলোয়ারা বেগম স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহপরান দেলোয়ারা বেগমকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। নাসিম হলো শাহপরানের ভগ্নিপতি। নাসিম ওই বিয়ের ঘটক ছিলেন। ২০১০ সালের ১ এপ্রিল রাতে দেলোয়ারা বেগম তার ১০ বছর বয়সী ছোট বোন ফারহানা ইয়াছমিন ওরফে রিকা মনিকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই রাতেই শাহপরান তার ভগ্নিপতি নাসিমকে নিয়ে দেলোয়ারা বেগমের ওপর হামলা করেন। ভোর ৪টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে শাহপরান ঘুমন্ত দেলোয়ারা বেগমকে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় দেলোয়ারা বেগমের চিৎকারে তার মা এবং ছোট বোন রিকা মনি ঘুম থেকে জেগে হামলাকারীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে রিকা মনির পেটে উপর্যপরি ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই রিকা মনির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হতে ভূজপুর থানায় দুইজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামি শাহপরান ও নাসিম গ্রেফতার হলেও বিচার চলাকালীন সময়ে জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যান। তাদের অবর্তমানে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল শাহপরানকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।   

র‍্যাব আরও জানিয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত করে আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে রোববার অভিযান চালিয়ে লোহাগাড়ার চুনতি রেঞ্জ এলাকা থেকে নাসিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ভূজপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

ইকবাল হোসেন/ এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।