তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও ৫ জন। তারা হলেন সোনালী ব্যাংক নৌ সদরদপ্তর শাখার ম্যানেজার খন্দকার শহিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূইয়া, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের ম্যানেজার অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শহীদুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশের সেলস ম্যানেজার এ কে এম হামিদুর রহমান ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রকাশনা শাখা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার।
রোববার (৪ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সোমবার (৫ জুন) দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক।গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
জেএ/জেএইচ/জিকেএস