ভৈরবে শ্রমিক হত্যা মামলায় আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন

পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জামাল উদ্দিন নামের এক ট্রাকশ্রমিককে হত্যা ঘটনায় করা মামলায় আসামি রফিকুল ইসলাম রফিকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য আসা ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় জাগো নিউজকে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য নোট দেওয়া হয়েছে।
রফিক জেলার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের দক্ষিণপাড়ার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে রফিকের দোকান থেকে তার ভাগ্নে দ্বীন ইসলাম মোল্লা ৩০০ টাকা বাকিতে পণ্য কিনেছিলেন। বারবার চাওয়া সত্ত্বেও তিনি সেই টাকা পরিশোধ করছিলেন না। টাকার জন্য রফিক তাকে চাপ দিলে তিনি বিষয়টি প্রতিবেশী ট্রাকশ্রমিক জামাল উদ্দিনকে জানান।
২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল বেলা পৌনে ১২টার দিকে মেঘনা ফেরিঘাটে এ নিয়ে রফিক ও জামালের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এরই একপর্যায়ে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে জামালকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২৪ এপ্রিল নিহতের ছোট ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে রফিকের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ।
সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টম্বর কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হলে আসামি আপিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস