মানবতাবিরোধী অপরাধ
যশোরের সিদ্দিক গাজীসহ ৩ জনের পক্ষে সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোরের মণিরামপুরের সিদ্দিকুর রহমান গাজী ওরফে সিদ্দিক গাজীসহ তিনজনের পক্ষে দ্বিতীয় সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে জেরার জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর রাজিয়া সুলতানা চমন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রাজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।
২০১৮ সালের ১৭ জুন দিন নির্ধারিত দিনে ট্রাইব্যুনালের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরমাল চার্জগঠনের মধ্যে দিয়ে আসামিদের আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
এরপর ওপেনিং স্ট্যাটমেন্টের মধ্য দিয়ে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে একাত্তর সালে হত্যা, আটক, নির্যাতন, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে ছয়টি অভিযোগে যশোর জেলার মণিরামপুর থানার সিদ্দিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সাবেক প্রধান সমন্বয়ক মরহুম আব্দুল হান্নান এ তথ্য জানান।
এসময় তদন্ত সংস্থার বর্তমান সমন্বয়ক (তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সদস্য) এম. সানাউল হক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্য তদন্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, আটক, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগে যশোরের মণিরামপুর থানার সিদ্দিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫ জন। এরমধ্যে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে রয়েছেন তিনজন। আর মারা গেছেন ২জন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল শেষ হয়।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস