কায়সার কামাল

খালেদার কিছু হলে দুই মন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনা হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে সরকারের দুই মন্ত্রীকে (স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী) দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি বলেছেন, গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করার কথা বলে তামাশা করা হচ্ছে।

jagonews24

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইনজীবীদের পদযাত্রা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে নবগঠিত সরকারবিরোধী আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের (ইউএলএফ) উদ্যোগে এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপিপন্থি ও সরকারবিরোধী কয়েকশো আইনজীবীর অংশগ্রহণে এ পদযাত্রা শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট দিয়ে পদযাত্রাটি মূল সড়কে উঠে। এরপর শিক্ষা ভবন, কদম ফোয়ারা ও জাতীয় ঈদগাহ মাঠ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটের সামনে পদযাত্রাটি শেষ হয়। এসময় আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

ইউএলএফের কেন্দ্রীয় কনভেনার ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি বার কাউন্সিলর সদস্য জয়নুল আবেদিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের কো-কনভেনার মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইউএলএফের কো-কনভেনার সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ইউএলএফের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বার এডহক কমিটির আহ্বায়ক মহসিন রশিদ, ইউএলএফের অন্যতম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, কেএম জাবির, সংগঠনটির সমন্বয়ক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক মহসিন মিয়া ও সমন্বয়ক ওমর ফারুক ফারুকী প্রমুখ।

jagonews24

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা আজ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দাঁড়িয়েছি। গতকাল আইনমন্ত্রী বললেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করতে হবে। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তাদের করার কিছু নেই, আদালতে যেতে হবে। খালেদা জিয়া যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে ভর্তি, তখন তার চিকিৎসা নিয়ে তামাসা করা হচ্ছে। জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নেওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাধারণ অধিবেশনে যে ডিক্লারেশন পাস হয়েছিল, সেটা মানছে সরকার এবং অথচ সংবিধানের ১৫ এবং ৩২ ধারা মানছে না। সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। এ কারণেই আমরা আইনজীবী সমাজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনে আপনাদের বিচারের আওতায় আনা হবে, ইনশাআল্লাহ্।

সভাপতির বক্তব্যে জয়নুল আবেদিন বলেন, এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি স্যাংশনসের ভয় পান না। কিন্তু আমরা দেশের মানুষ লজ্জা পাই।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অনেক হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে আপনাকে বিদায় নিতে হবে। আপনি যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে পদত্যাগ করবেন ততই দেশের জন্য মঙ্গল।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।