মানবতাবিরোধী অপরাধ

নীলফামারীর ৮ জনের বিরুদ্ধে আইওর সাক্ষ্য ৫ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নীলফামারীর একরামুল হকসহ আট আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তমিম।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষ্য থাকলে দেবেন, অন্যথায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করা হবে। এরও আগে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে।

রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অভিযুক্ত আট আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ৪৬ জনকে আটক, ২৫ জনকে অপহরণ, তিনজনকে ধর্ষণ, ১৫টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও সাতজনকে হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ছয়টি অভিযোগে ২৩৮ পৃষ্ঠার নথিপত্র ছিল তদন্ত প্রতিবেদনে।

এরপর প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ওই বছরের ১ জুলাই দিনগত রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের নুরল হক (৬৫), একই ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার (৭৯), মো. জবেদ আলী (৭১), বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের মো. আব্দুল খালেক (৭১), গয়াবাড়ি ইউনিয়নের একরামুল হক (৭৮), শহীদুল্লাহ সরকার (৭০) ও মো. মোকলেছার রহমান ওরফে খোকা (৭৬)।

মানবতাবিরোধী অপরাধে একরামুল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে একজন মারা গেলে মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। নীলফামারীর ডিমলা থেকে গ্রেফতার হওয়া শহীদুল্লাহ সরকার ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জামিনে, দুজন কারাগারে আর অন্য একজন পলাতক।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।