কোনো আক্ষেপ নেই, শেষ কর্মদিবস শেষে প্রধান বিচারপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শেষ কর্মদিবস পার করেছেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সোমবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে এসে প্রথমে হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। পরে পান দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব। সেই আসন থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।

বিদায়ের সময় তিনি বলেন, অসংখ্য মামলা বিনা পয়সায় লড়েছি। আমি ভেবেছি, এরা আমার আপন কেউ হতে পারে। দূর-দূরান্ত থেকে যারা আমার চেম্বার পর্যন্ত এসেছে তাদের কখনো নিরাশ করিনি। পাবলিকের দোয়া ও মা বাবার দোয়ায় প্রথমে বিচারপতি, পরে দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছি।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

কোনো আক্ষেপ আছে কি না, জানতে চাইলে বলেন, আমার কোনো আক্ষেপ নেই। তবে ন্যায়কুঞ্জগুলো যদি শেষ করে যেতে পারতাম ভালো লাগতো। মসজিদের কাজ যদি শেষ করতে পারতাম ভালো লাগতো। সব-তো হয় না। আমার সময় এক বছর ৮ মাস ২৫ দিন মাত্র। এর প্রতিটি মহূর্ত কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে দেশের ২৪টি জেলায় নিজে ঘুরেছি। জাজদের ইন্সপায়ার করার চেষ্টা করেছি যাতে মামলা ডিসপোজাল বেশি হয়। দুই ভাবে বলেছি। একটা হচ্ছে, দেখি চেষ্টা করে মানুষের জন্যে কিছু করা যায় কি না।

এসময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সুন্দর ও ভালো কাজ করেছেন। আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ। তার সুন্দর জীবন কামনা করছি।

সোমবারও কর্মব্যস্ত দিন অতিবাহিত করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিভিন্ন ফাইল ও নথিতে সই করেন। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টার সময় ভার্চুয়ালি ১০টি জেলার আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন।

বিকেল ৫টার দিকে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতি বিদায়ী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন। পরে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।